কাঁচা হলুদের ১০ টি উপকারিতা
ফারজানা ওয়াহিদ
প্রাচীনকাল থেকে হলুদ ঘরোয়া ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে । এটি অনেকে আয়ুর্বেদ হিসাবেও ব্যাবহার করে থাকেন। এটি ভেষজ ঔষূধ ছাড়াও মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য, কফ, বাতের ব্যথা, ব্রন, চর্ম রোগ, কৃমি ইত্যাদি সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কাঁচা হলুদ মধুর সাথে খেলে অনের উপকার। অনেক রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাছাড়া কাঁচা হলুদ রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। জেনে নেই কাঁচা হলুদের ১০ টি উপকারিতা-
১। সূর্যের তাপে গা জ্বলে গেলে বা পুড়ে গেলে কাঁচা হলুদ বাটার মধ্য দই মিশিয়ে লাগান পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে।
২। হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩। কাঁচা হলুদ ও শুকনো কমলার খোসা একত্রে বেটে স্ক্রাবার হিসাবে পুরো শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে আসবে অন্য রকম গ্লো।
৪। সর্দি-কাশি হলে হলুদ খেতে পারেন। কাশি কমাতে হলে হলুদের টুকরা মুখে রেখে চুষুন। এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।
৫। বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।
৬। হলুদ মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়। হলুদে কারকিউমিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়। শরীরের কলাগুলোকে বাড়তে দেয় না।
৭। যাদের প্রচুর ব্রণ ওঠে তাদের জন্য কাঁচা হলুদ জাদুর মতো কাজ দেয়। ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা হলুদ বাটা, আঙ্গুরের রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রনের উপরে লাগান। কিছু সময় পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ মিলিয়ে যাবে ও ইনফেকশন হবে না।
৮। রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
৯। আয়ুর্বেদিক মতে, হলুদ নাকি রক্ত শুদ্ধ করে। তাই হলুদের ফুলের পেস্ট লাগালে চর্ম রোগ দূর হয়।
১০। গা ব্যথা হলে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টের ব্যথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে প্রলেপ দিতে পারেন।
প্রতিক্ষন/এডমি/এফজে